বৈশাখী মেলা ১৪১৫ শোভাযাত্রা

এপ্রিল 18, 2008

ভিডিও দেখা না গেলে এই লিংকটিতে ক্লিক করুন


তুষভান্ডার জমিদারী-এক

এপ্রিল 18, 2008

তুষভান্ডারে জমিদার বংশের গোড়াপত্তন ঘটে ১৬৩৪ সালে। এই বংশের পূর্বপুরুষ মুরারিদেব ঘোষাল ভট্টাচার্য ২৪পরগনা জেলার অধিবাসী। মুরারিদেব ‘রসিক রায় বিগ্রহ’ নিয়ে কোচ মহারাজা প্রাণ নারায়নের রাজত্বকালে কোচবিহারে আগমন করেন এবং মহারাণী কর্তৃক একটি ‘উপঞ্চৌকি তালুক’ প্রাপ্ত হয়ে উত্তর ঘনেশ্যাম গ্রামে বসতি স্থাপন করেন এবং রসিক রায় বিগ্রহের পুজা শুরু করেন। উপঞ্চৌকি হল সেই সময়ে রঙ্গপুর অঞ্চলে প্রচলিত একটি প্রথা যা’দ্বারা মহারাজাগন হিন্দু এবং মুসলিম উভয় ধর্মীয় কার্যাদী পালনের জন্য প্রজাদেরকে একটি করে তালুক(ভূখন্ড) দান করতেন। এভাবেই মুরারিদেব এ অঞ্চলের ছোটখাতা, বামুনিয়া ও শেখ সুন্দর মৌজা লাভ করেন। প্রতিষ্ঠা লাভ করে তুষভান্ডার জমিদারী।
মুরারিদেব ব্রাহ্মণ ছিলেন জন্য শুদ্র কোচবিহার রাজার দান গ্রহনে আপত্তি জানিয়ে খাজনা গ্রহনের জন্য মহারাণীকে অনুরোধ জানান। মহারানীও ব্রাহ্মণের কাছ থেকে খাজনা নেওয়ার পরিবর্তে ‘তুষ’ (ধানের কুড়া) গ্রহনে সম্মতি জানান। এই তুষ দিয়ে কোচবিহার মহারাণী রাজবাড়ীতে যজ্ঞাদি ক্রিয়া সম্পাদন করতেন। মুরারিদেব কর্তৃক কোচ রাজাকে তুষ প্রদানের জন্য এগুলো সংরক্ষন করা হত বর্তমান জমিদার বাড়ীর পূর্ব দিকে। খাজনা প্রদানের জন্য সংরক্ষিত এই তুষের স্তুপ থেকেই এলাকাটির নাম তুষভান্ডার হয়েছে বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন। তুষভান্ডার নামের পিছনে আরও কিছু অসমর্থিত কিংবদন্তী থাকলেও সেগুলো শেষ পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য হয়নি। স্তুপাকারে সংরক্ষিত এই তুষের ঢিপিটি আজ পর্যন্ত ‘তুষের ঢিপি’ নামেই পরিচিত।
তবে কোচবিহারের ইতিহাস লেখক খান বাহাদুর চৌধুরী আমানত উল্লাহ সীতারাম রায় নামক এক ব্যাক্তিকে তুষভান্ডার জমিদারীর আদিপুরুষ বলে উল্লেখ করেছেন। তার মতে কোচ রাজার কর্মচারী সীতারাম রায় সম্রাট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে কার্যিরহাট পরগনার এক অষ্টমাংশ জমিদারী লাভ করেন। এছাড়া সীতারাম রায় সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি কিংবা তুষভান্ডারের জমিদার বংশতালিকায়ও তার নাম পাওয়া যায় না।

(চলবে)


ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন

এপ্রিল 18, 2008

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে যখন এই এলাকায় উচ্চ শিক্ষা ছিল দুঃস্বপ্ন সেসময়ই স্টার মার্ক নিয়ে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন উপজেলার অনুকরনীয় ব্যাক্তিত্বের অন্যতম।

অবিভক্ত ভারতের রেলওয়ে ডিপার্টমেন্টে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ডাক্তার মোয়াজ্জেম হোসেনের জীবন ছিল বর্ণাঢ্যময়। ১৯০৫সালে জন্মগ্রহনকারী ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯২১সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ১৯২৭সালে মিটফোর্ড (বর্তমান সলিমুল্লাহ) হাসপাতাল থেকে এল এম এফ পাশ করেন। ১৯৩০ সালে অবিভক্ত ভারতবর্ষের রেলওয়েতে ডাক্তার হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন এবং ১৯৩১ সালে অত্র এলাকার জোতদার সদর মোহাম্মদের রত্নগর্ভা কন্যা রাবেয়া খাতুনের সংগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

অবিভক্ত ভারতে আসাম প্রদেশের রঙ্গীয়ায় চাকুরীরত থাকার সময় ১৯৪২ সালে সেখানকার শিশুদের বাংলা শিক্ষাদানের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সম্মিলিত উদ্দোগ নেন। সমাজহিতৈষী এই মানুষটি ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের সময় গরীব আত্মীয়-স্বজন সহ অন্যান্য লোকজনকে সুদুর রঙ্গীয়া শহরে এনে নিজ খরচে বাসাভাড়া সহ যাবতীয় খরচ নির্বাহ করে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে এদেরকে রক্ষা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দয়ালু এই মানুষটি বৃটিশ সেনাবাহিনীতে ডাক্তার হিসেবে যোগদান করেন।

ডাক্তারী পেশার বাইরেও তিনি সমাজ উন্নয়নের যাবতীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিলেন আজীবন। করিমউদ্দিন পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষক, মদনপুর বৈরাতী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। জীিবদ্দশায় তিনি তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের সরকার মনোনীত সদস্য ছিলেন।

ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসনের সুললিত কন্ঠের কোরআন তেলাওয়াত ও ইংরেজী ভাষায় এর মুখস্থ তর্জমা সেসময় অনেকেই আপ্লুত করেছিল।

সদালাপি, সংস্কৃতিমনা, দয়ালু, বিদ্যোতসাহী ও ধর্মপরায়ণ এই মানুষটি ১৯৭৪সালের ২১মার্চ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।


ময়ুর

এপ্রিল 18, 2008

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে গত শুক্রবার রাতে বয়ে যায় কালবৈশাখী। পরদিন সকালে হামকুড়া গ্রামের ভুট্টাক্ষেতে লোকজন একটি ময়ুর দেখে ধরার চেষ্টা করে। তিনদিন পর সোমবার ঐ গ্রামের আলী হোসেন ময়ুরটি ধরে ফেলেন।  কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হামিদুল হক খান ময়ুরটি তার হেফাজতে নিয়েছেন।

———সুত্র: প্রথম আলো। ১৭এপ্রিল। বৃহষ্পতিবার। কালীগঞ্জ প্রতিনিধি হায়দার আলী বাবুর তোলা ছবিসহ শিরোনামহীন এই খবরটি ছাপা হয় বিশাল বাংলা পাতায়।


গণধর্ষনের পর হত্যা

এপ্রিল 18, 2008

<p style=”font-size:16px;”>উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের স্বামী পরিত্যক্তা মালেকা বেগম (২৫)কে গত ৫এপ্রিল রাতে গণ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্নযুক্ত মালেকার লাশ পরদিন উদ্ধার করা হয় তার বাড়ীর পাশের ভুট্টা ক্ষেত থেকে। তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ধারণা করছেন মালেকাকে গণ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

——————————–সুত্র: লালমনিরহাট বার্তা। ৭এপ্রিল ২০০৮। সোমবার।